মোসাঃ সফুরা খাতুন
স্বামী : মোঃ ইসারত আলী
ঠিকানা : বাড়ি-০৭২০, ওয়ার্ড-২, বাবুপাড়া
আলমডাংগা, উপজেলা-আলমডাংগা
জেলা-চুয়াডাংগা।
চার কন্যা সন্তানের জননী মোসাঃ সফুরা খাতুন ১৯৪০ সালে আলমডাংগা উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৮ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ষষ্ঠ। তার পিতা অবিভক্ত বাংলার রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টারের চাকরি করতেন। তাঁর বয়স যখন ১২ বছর তখন তাঁর পিতা মারা যান। অনেক সংগ্রাম করে তাঁর মা ভাইদের লেখাপড়া শেখালেও সফুরা খাতুন চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছিলেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। স্বামী প্রথম জীবনে রেলওয়েতে চাকরি করতেন, পরে স্কুলে শিক্ষকতা এবং শেষে সরকারি চাকরি করেছেন। সফুরা খাতুনের ঐকান্তিক উৎসাহে তাঁর স্বামী চাকুরিকালীন এলএলবি পাস করেন এবং অবসরের পর কয়েকবছর আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা কোর্টে এ্যাডভোকেট হিসেবে প্র্যাকটিসও করেন।
বড় মেয়ে তাসলিমা এসএসসিতে যশোর বোর্ড থেকে মেধাতালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করে পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স পাস করেন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করে অবসরে আছেন। দ্বিতীয় কন্যা উম্মে মুসলিমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ডিগ্রি নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ দেশে বিদেশে সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। তাঁর প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি বলে আজ তিনি একজন সুখী, সফল ও গর্বিত মা।
প্রথম সন্তান ঃ তাসলিমা, মাস্টার্স
কর্মক্ষেত্র ঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত
দ্বিতীয় সন্তান ঃ উম্মে মুসলিমা, মাস্টার্স (বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কর্মক্ষেত্র ঃ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও যুব উন্নয় অধিদপ্তরসহ দেশে বিদেশে সরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করছেন।
তিনি একজন সাহিত্যিক ও কলাম লেখক। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত
তৃতীয় সন্তান ঃ খালেদা ইয়াসমিন, মাস্টার্স (অর্থনীতি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কর্মক্ষেত্র ঃ অবসরপ্রাপ্ত কন্ট্রোলার, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড
চতুর্থ সন্তান ঃ ইসমাত ঈশা, মাস্টার্স (সমাজকল্যাণ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কর্মক্ষেত্র ঃ ঢাকার একটি কলেজে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত